সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান
শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক ও লেনদেন উভয় বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও লেনদেনর পরিমাণ কিছুটা কমেছে। অবশ্য
দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
এ দিন লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের
শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। ফলে সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু লেনদেনের
সময় ১০ মিনিট পার হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দাম কমতে থাকে। এতে এক পর্যায়ে ডিএসইর
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য ১০ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঘুরে দাঁড়ায়
শেয়ারবাজার। পতন থেকে বেরিয়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়।
ফলে ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার
তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান
করে নিয়েছে ৬৩টি। আর ১১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর
প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে
উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার
৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২৫ পয়েন্টে
দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে
লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা।
আগের দিন লেনদেন হয় ৫৩০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ২১৫ কোটি ৬৭ লাখ
টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন
হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয়
স্থানে থাকা রবির ৫৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫১ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের
মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ
দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, সামিট পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম,
ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ওয়ালটন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের
সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৬
লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে
দাম কমেছে ৬৪টির এবং ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।