শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতার
সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে
এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও দূরদর্শী
নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজ এটা স্বীকৃত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুজিব বর্ষে পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশকে বিশ্বে
উন্নয়নের উদাহরন হিসাবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশকে
উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ এর আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনার এ
প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে গতকাল
সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু উন্নত-সমৃদ্ধ
দেশ নই, ৪১’ সাল নাগাদ মেধা
মনন, মানবিকতায় উদহারন সৃষ্টকারী একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে
যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, এ জন্য মেধা, মনন, মানবিকতা,
আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সে লক্ষ্যে
কাজ করে যাচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ গত ১৩ বছরে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির
কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের তুলনায় উন্নয়ন
ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। এমনকি সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে
পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ কখনো
স্বাধীন ছিল না। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রথম জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত
হয়। এ সময় তিনি ১৯৭২ সালে জাতির পিতার ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কমিউনিষ্ট পার্টির
মনিসিংহের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘মনিসিংহ বলেছিলেন,
১৯৫১ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন তিনি পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার পরিকল্পনা
নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ তবে রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার
জন্য জাতিকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করতে থাকেন। এরই মধ্যে ৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ
খ্যাত ৬ দফা পেশ করে জনগণের মনন তৈরি করেন। এর ধারাবাহিকতায় ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং
৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চে জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির
জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু
উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ঘাতকরা তা সম্পন্ন করতে দেয়নি।
‘৭৫ এর ১৫ আগষ্ট
সপরিবারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, অথচ ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশের জিডিপির
প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৯.৫৯ ভাগ। এ প্রবৃদ্ধি আজ পর্যন্ত কোন সময় অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা
সম্ভব হতো। আর দেশ অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হতো। এখন তার সুযোগ্য কন্যার
হাতে দেশ সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত
হবে।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন, কৃষি
মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম, সরকারি দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শাজাহান খান,
প্রাণ গোপাল দত্ত, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মৃণাল কান্তি দাস, বেগম শবনম জাহান,
নাহিদ এজাহার খান, সালিম উদ্দিন আহমেদ শিমুল,ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের
শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,
ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, বিএনপি’র রুমীন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির
খান। সূত্র : বাসস