ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই ভিডিও প্রকাশ করল চীন
সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের সেই সংঘর্ষের
ভিডিও প্রকাশ করেছে চীনের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি। গত বছর পূর্ব লাদাখের
গালওয়ান উপত্যকতায় ওই সংঘর্ষে নিজেদের চার সেনা নিহত হয় বলে গতকাল শুক্রবার প্রথমবারের
মতো স্বীকার করে চীন। এই স্বীকারোক্তির পর সংঘর্ষের ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। খবর
এএফপির।
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তে
সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চীনের সেনারা। সংঘর্ষের পর ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, এ
ঘটনায় তাদের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। বেইজিং তখন হতাহতের কথা স্বীকার করলেও তারা এত
দিন সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি। তবে শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
ওই সংঘর্ষে নিহত চার সেনার নাম প্রকাশ করে।
এরপর প্রকাশ করা হয় সংঘর্ষের ভিডিও। সিসিটিভি
ফুটেজে ভারতীয় সেনাদের তুষারে ঢাকা কারাকোরাম পাহাড়ি এলাকায় নদী পেরিয়ে চীনের সেনাদের
দিকে যেতে দেখা যায়। তাদের হাতে লাঠি ছিল। ‘পুলিশ’ লেখা ঢাল পরেছিল
তারা।
দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে চীন ও ভারতের
দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকের ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে। ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে
লাঠি, ইট ছোড়াছুড়ি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে মুষ্টিযুদ্ধও হয়ে থাকে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সেনা বলছে, তারা
এখানে নতুন আরেকটি তাঁবু ফেলেছে। চীনের দাবি, চুক্তি ভেঙে চীনের সেনাদের উসকানি দিতে
ভারতীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
ওই ফুটেজে অন্ধকারের মধ্যে চীন ও ভারতের
সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে দেখা যায়। এর কিছু পরই মেঝেতে পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে চীনের
সেনাদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। আহত ওই ব্যক্তির মাথা থেকে রক্ত পড়ছিল।
ভিডিও ফুটেজে আহত এক সেনাকে চিকিৎসা দিতে
দেখা যায়।
সিসিটিভির খবরে বলা হয়, চীনের সেনারা ‘বীরের মতো জীবন
উৎসর্গ’ করেছে। চীনের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ব্যাটালিয়ন কমান্ডার চেন হংজুন ও আরও তিনজন সেনাকে মরণোত্তর
পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের খবরে আরও দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষে
১৯ বছরের এক সেনা নিহত হয়।
তিব্বতের ঠিক উল্টো দিকে ভারতের লাদাখ
অঞ্চল অবস্থিত। ১৯৬২ সালে সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন
ধরে দুই দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগ করে আসছে। বিষয়টির কোনো
সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি।