নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে ফখরুল দ্বিচারিতা করেছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা
করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কথা বলার সুযোগ তো অবারিত ছিল।
বিএনপি মহাসচিবের বাইরে চিৎকার করার প্রয়োজন ছিল না। তার সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ
ছিল। নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে ফখরুল দ্বিচারিতা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে
এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কর্মী-সমর্থকদের
ধাঁধার মধ্যে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায় বিএনপি। তারা সার্বক্ষণিক সরকারের
বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। অথচ তারা বলে তাদের কথা বলার সুযোগ নাকি কম আসছে। প্রতিদিন
তাদের বক্তব্য পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আসছে। সংসদে আসন সংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত
সময়ের বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে, তাও বলে কথা নাকি কম দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় বিএনপির অবাধ মিথ্যাচার ফ্যাসিবাদি
মানসিকতার অংশ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপির
শাসনামলে তারাই ফ্যাসিবাদি চর্চা করেছিল।
সরকারকে ফ্যাসিবাদি বলার আগে বিএনপিকে
আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাহলে দেখতে পাবেন
নিজেরাই ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার বহন করছে এবং তাদের মাঝে বিরাজ করছে ফ্যাসিবাদি মানসিকতা।’
সরকার নাকি ব্যর্থতা আড়াল করতে দমন-পীড়ন
চালাচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার
দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়, গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন রাজনৈতিক
দল, যারা গত ১৩ বছরে সরকারের একটি সফলতাও দেখতে পায়নি, শুধু দেখেছে কথিত ব্যর্থতা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা
সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, বিআরটি, সারা দেশে ২২টি ফ্লাইওভার,
২০টির মতো আন্ডারপাসসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ তাদের (বিএনপি) চোখে পড়ে না। এসব উন্নয়ন
দেখে আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।
আজকে শতভাগ বিদ্যুৎ সারা দেশে পৌঁছেছে,
এটাও বিএনপির বিদ্বেষের কারণ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ২ হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু
আয়, এই বিস্ময়কর অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি
নেতারা মনের শান্তি ও স্বস্তি খোঁজেন। কিন্তু তারা নিজেদের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার কোন
উদ্যোগ বা প্রয়াস চালান না।