পর্ষদ সভা ও এজিএম করবে আমান কটন ফাইব্রাস
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের লভ্যাংশ নির্ধারণী পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আয়োজন করবে আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড। সম্প্রতি কোম্পানিটি এজিএম আয়োজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই তারা পর্ষদ সভা ও এজিএমের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে,
সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ’১৯-মার্চ ’২০) আমান কটন
ফাইব্রাসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে
যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের
হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৪৩ টাকা ৭১ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে
আমান কটন ফাইব্রাস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব
বছরে যা ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৭৬ পয়সা,
আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪২ টাকা ৩৪ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী আমান কটন ফাইব্রাসের
ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে
‘এসটি-থ্রি’। গত বছরের ৩০
জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের
ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরেও
শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড।
ডিএসইতে আমান কটন ফাইব্রাস শেয়ার সর্বশেষ
৩০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিডের অনুমোদিত
মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে
২৭১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩। এর
৭২ দশমিক ২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ১৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।