পশ্চিমবঙ্গের ভোটের পর তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের ‘আশ্বাস মিলেছে’

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর তিস্তা চুক্তি
বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতের সাথে পানিসম্পদ বিষয়ক সচিব পর্যায়ের
বৈঠকের বিস্তারিত নিয়ে বুধবার (১৭ মার্চ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি
লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘ভারত বলেছে, তাদের যে আগের অবস্থান অর্থাৎ
২০১১ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেটাই
রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মত পার্থক্যের কারণে বিষয়টি
আটকে আছে। তারা বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পরে এটার বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের আগস্টে
বাংলাদেশ-ভারতের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। গত বছর ভারতীয় সচিবকে আমরা নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
কিন্তু করোনার কারণে আমরা এক বছর পিছিয়ে যাই। এই বৈঠকটি আবার আমাদের গতকাল নয়াদিল্লীতে
অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিস্তাসহ আমাদের সবগুলো অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব পজিটিভ
ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর
পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা যে পাম্প হাউজ নির্মাণ করেছি, প্রায় ৫ হাজার হেক্টর
জমিতে আমাদের চাষাবাদ হবে। সেই পানি সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মহানন্দা নদীতে
পানি কমে গেছে, সেটা নতুন করে আলোচনা করেছি। আশা করছি মহানন্দা নদীর পানির বিষয়টিও
একটি জয়েন্ট সার্ভে (জরিপ) করে, আমাদের দুই দেশের যে ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন তাদের নিয়ে
যৌথ সার্ভে করে দেখা হবে পানির অবস্থা। বাংলাদেশ অংশে পানি কমে যাওয়ায় আমরা বিষয়টি
তুলেছি।’
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘তাদের পশ্চিমবঙ্গ
ও আসামে নির্বাচনের কারণে এই মুহূর্তে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর বা পারস্পরিক সমঝোতা
স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে তারা বলছে, নির্বাচনের পর তারা করতে সক্ষম হবেন।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লীতে যৌথ
নদী কমিশন কাঠামোর আওতায় ভারত-বাংলাদেশ পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।








