ডিএসইতে সূচকের পতনে লেনদেন ২০০ কোটির ঘরে

টানা দরপতনের সঙ্গে
লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন
হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে।
ডিএসইর
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমিক
৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৭৮
পয়েন্ট কমে এক হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে এক হাজার
৮৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন
আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
ডিএসইর
তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর
কমেছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৮৭টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট
লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ২০৯টি
ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৬৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২১৩টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে
লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১২৩টি
ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট
দর। একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৭৭টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর
মধ্যে ২৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দরদাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ৪৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর
কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
‘জেড’
ক্যাটেগরির ৯৭টি কোম্পানি ও ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি ফান্ড ও
কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৪২টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে
অপরিবর্তিত ছিল ২১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একইসঙ্গে
মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশির ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দরও কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৫টি
ফান্ডের মধ্যে একটি ফান্ডের ইউনিট ৯টির দর বেড়েছে, বিপরীতে ১১টি ফান্ডের ইউনিট দর
কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে
গতকাল মোট ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১টি শেয়ার ও ইউনিট এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ বার
হাতবদল হয়েছে। এরই জেরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়ায় ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এই
লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১
লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন
ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার
লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং।
এছাড়া
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑমিডল্যান্ড
ব্যাংক, বিডি থাই ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, লাভেলো
আইসক্রিম, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং ফাইন ফুডস।
বাজার
বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা
ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। বাজারে বিক্রয় চাপ বাড়ায় সূচকও চাপের মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগকারীদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাজারে স্থবিরতা তৈরি করেছে।
তারা দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মৌলভিত্তিক শেয়ারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন।








