বিজিএমইএ নির্বাচনে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে মাহমুদ হাসান বাবুর নেতৃত্বাধীন ফোরাম
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও
রফতানি কারক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পথে রয়েছে ফোরাম প্যানেল।
শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত ভোটে এখন
(রাত ১০টা) পর্যন্ত ঘোষিত ১ হাজার ৪১৪টি ভোটের মধ্যে ঢাকায় ২৫টি ও চট্টগ্রামে ৫টি
পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন ফোরামের প্রার্থীরা।
ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেল ও
চট্টগ্রামের বিজিএমইএ ভবনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। শেষ
সময়ে ভোটারদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট সময় বাড়ানো হয়। এরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৬৪ জন ভোটার
তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরিচালক পদে ৭৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে ৩৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ প্যানেলের
প্রার্থীরা। বাকিরা লড়েছেন স্বতন্ত্রভাবে, ‘ঐক্য পরিষদ’
ব্যানারে।
নিরঙ্কুশ অগ্রগতিতে ফোরাম
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে,
এখন পর্যন্ত যেসব ফলাফল ঘোষণা হয়েছে, তাতে ফোরাম প্যানেল থেকে ঢাকায় ২৫ জন এবং
চট্টগ্রামে ৫ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এটি তাদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের ইঙ্গিত বলেই
মনে করা হচ্ছে।
ফোরাম প্যানেল থেকে রাইজিং ফ্যাশনস
লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু নেতৃত্ব দিয়েছেন। অপরদিকে
সম্মিলিত পরিষদ থেকে চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম নেতৃত্ব
দিয়েছেন। এই প্যানেল ঢাকায় একটি এবং চট্টগ্রামে চারটি পদে এগিয়ে থাকলেও বাকিগুলোর
ফলাফলে তারা পিছিয়ে রয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নির্বাচন
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক
পটপরিবর্তনের পর বিজিএমইএ’র তৎকালীন সভাপতি আব্দুল মান্নান
কচি দেশ ছেড়ে চলে যান এবং বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান। পরে ডিজাইনটেক্স গ্রুপের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
কিন্তু খাতের অস্থিরতা কাটাতে না পারায় সরকার ওই বছরের ২০ অক্টোবর রফতানি উন্নয়ন
ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে
নিয়োগ দেয়।
এরপর থেকেই সংগঠনের অভ্যন্তরে
স্থিতিশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। এবার সেই নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলে মনে করছেন গার্মেন্টস মালিকরা।