ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন হামলায় কিয়েভে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ইউক্রেনে
রাতভর চালানো রাশিয়ার ড্রোন হামলায় কিয়েভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে এক
নারী আহত হন এবং
বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার
রাতব্যাপী এ হামলা চলে
বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন
অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ৮৩টি ড্রোনের মধ্যে
৬১টি গুলি করে নামানো
হয়েছে এবং আরও ২২টি
সম্ভবত ইলেকট্রনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।
কিয়েভের
মেয়র ভিটালি ক্লিচকো টেলিগ্রাম বার্তায় জানান, কিয়েভে একটি অনাবাসিক ভবনে
আগুন লাগলেও কোনো হতাহতের ঘটনা
ঘটেনি।
তবে
সুমি শহরে রাশিয়ার ড্রোন
হামলায় ৩৮ বছর বয়সি
এক নারী আহত হয়েছেন
এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। সুমি অঞ্চলের গভর্নর
ইহর কালচেঙ্কো টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানান।
এছাড়
এ হামলায় পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন
গভর্নর কালচেঙ্কো।
সুমির
জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, উচ্চ
ভবনের জানালাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং
পাশে থাকা গাড়িগুলো দাউদাউ
করে জ্বলছে।
সুমির
জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানায়, হামলার ফলে ৩০০-র
বেশি জানালা ধ্বংস হয়েছে এবং ৬৫ জন
বাসিন্দাকে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া
হয়েছে।
তবে
এ হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো
মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যদিও
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর
থেকে উভয় পক্ষই সাধারণ
নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার
করে আসছে। তবে ২০২২ সালের
ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া পূর্ণমাত্রার
এই যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের
বেশিরভাগই ইউক্রেনীয়। সূত্র: রয়টার্স








