পাঁচ দফায় মুক্ত ৫৫০ ফিলিস্তিনি ও ১৮ ইসরাইলি জিম্মি

আরও
তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শনিবার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দি
বিনিময়ের পঞ্চম ধাপে মধ্য গাজার
দেইর-আল বালাহ এলাকার
একটি স্থান থেকে মুক্তি দেওয়া
হয়েছে তাদের। এদিন মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন,
এলি শারাবি, ওর লেভি ও
ওহাদ বেন আমি।
শনিবার
স্থানীয় সময় সকালে তাদেরকে
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রস কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া
হয়েছে। এই তিন জনের
বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে ১৮৩ ফিলিস্তিনি
বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তাদেরকে বহনকারী একটি বাস অধিকৃত
পশ্চিম তীরের রামাল্লায় এসে পৌঁছেছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত
ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাত জনকে রামাল্লাহর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাত
ফিলিস্তিনিকে মিশরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে
তারা ভিন্ন কোনো দেশে যাবেন।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ হামাসকর্মী রয়েছেন। ২০০০ সালের দিকে
ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা অংশ নেওয়ার অপরাধে
হামাসকর্মী ইয়াদ আবু শাখদাম
প্রায় ২১ বছর কারাবন্দি
ছিলেন।
এদিকে,
১৬ মাস আটক থাকার
পর মুক্তি পাওয়া তিন ইসরাইলিকে ছবিতে
‘দুর্বল’ দেখা গেছে বলে
অভিযোগ করেছেন ইসরাইলিরা। এ বিষয়টিকে উদ্বেগজনক
বলে অভিহিত করেছে হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম। দ্রুত বাকি জিম্মিদের মুক্ত
করার দাবি জানিয়ে সংগঠনটি।
গাজায়
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আবারও জিম্মি ও বন্দি বিনিময়
করেছে ইসরাইল ও হামাস। যার
ফলে পাঁচ দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত
ইসরাইলি জিম্মির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮।
পাশাপাশি ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন
৫৫০ বন্দি।
এরই
মধ্যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ফোরক পরিকল্পনার প্রভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দ্বিতীয়
পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির আলোচনা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা।
সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প
জানান, তিনি গাজার দখল
নিতে আগ্রহী।
গাজার
ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের অন্য কোনো জায়গায়
সরিয়ে নিয়ে তিনি ওই
ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে
তার প্রশাসন এই অবস্থান থেকে
খানিকটা পিছিয়ে আসলেও, সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ক্ষতি যা হওয়ার তা
হয়ে গেছে।








