বোনাস লভ্যাংশ প্রদানে বিএসইসির অনুমোদন পেল কে অ্যান্ড কিউ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) রিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা, আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ১৭ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা। উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আর প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় টাকা পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ৩৩ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৮ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৫৪ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াবিক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে তিন টাকা সাত পয়সা (ঘাটতি) এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।