বাফুফেকে ফিফার প্রশ্ন : এত কাউন্সিলর কেন?

২০২০ সালের অক্টোবরের ৩ তারিখে জমজমাট
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরবর্তী চার বছরের জন্য পুনরায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)
সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটিতে পুরনো মুখের সঙ্গে
বেশ কয়েকটি নতুন মুখও নির্বাচিত হয়ে আসে।
সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ
পেয়েছেন নানা ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত ১৩৯জন কাউন্সিলর। বাফুফের এই ১৩৯জন কাউন্সিলরের
সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক অভিভাবক সংস্থা ফিফা। তাদের প্রশ্ন,
বাফুফেতে এত কাউন্সিলর কেন?
গত অক্টোবরে বাফুফে নির্বাচনের পরপরই এ
নিয়ে প্রশ্ন তোলে ফিফা। যদিও বিষয়টা নিয়ে আজই প্রথম মুখ খুলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী
সালাউদ্দিন। তাও মিডিয়ার সামনে নয়, জেলা লিগ কমিটির সভায়।
আজ বাফুফেতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা লিগ কমিটির
সভা। সেখানেই বাফুফে সভাপতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘লিগ আয়োজন না
করলে বাফুফেতে সংশ্লিষ্ট জেলার কাউন্সিলরশিপ থাকবে না। কারণ, এটা ফিফার নির্দেশনা।’
ওই সময়ই, কাউন্সিলরের সংখ্যা নিয়ে ফিফার
প্রশ্ন তোলার বিষয়টা আলাপ করেন কাজী সালাউদ্দিন। মিটিং উপস্থিত একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন সংবাদমাধ্যমকে।
কাজী সালাউদ্দিন সরাসরি বলেছেন, ‘ফিফা প্রশ্ন তুলেছে
বাফুফের কাউন্সিলরদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাবোর্ডের কাউন্সিলরশিপ কেন? বাফুফের
নির্বাচনে তারা ভোটার কেন?’
ফিফার নির্দেশনার কথা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি
বলেন, ‘ফিফা বলেছে- যারা
ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তাদেরকে কাউন্সিলর হিসেবে না রাখতে। যেসব জেলা লিগ আয়োজন
করবে না, তাদেরকেও কাউন্সিলর না রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফিফা। তারা বলেছে, ২০২০ সালের
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন কোন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের তালিকা
বের করে জমা দিতে এবং শুধুমাত্র তারাই থাকবে বাফুফের কাউন্সিলর। সুতরাং, ডিএফএ তথা
জেলাগুলো ফুটবল লিগ আয়োজন না করলে অটোমেটিক তাদের কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে।’
বাফুফেকে ফিফা বলেছে, ‘যারা ফুটবলের
সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, নির্বাচন এলে কেন টাকা খরচ করে তাদের ডেকে আনা হয়? কেন তাদের পেছনে
অর্থ ব্যায় করা হয়। এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি বাফুফের স্ট্যান্ডিং কমিটির সংখ্যা
নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ফিফা। বলেছে, এতগুলো স্ট্যান্ডিং কমিটি কেন। কমিটির সংখ্যা কমিয়ে
আনারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।’
বাফুফেতে প্রায় ১৫-১৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটি
রয়েছে। কাজী সালাউদ্দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, কমিটির সংখ্যা কমিয়ে বহর ছোট করা হবে। জেলাগুলোর
উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জেলাগুলোতে লিগ আয়োজন করার দায়িত্ব বাফুফের
নয়, জেলার। বাফুফে শুধু লিগ আয়োজনে সহযোগিতা করতে পারে। এরই মধ্যে লিগ আয়োজনের জন্য
প্রতিটি জেলাকে ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যে বরাদ্ধকৃত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যেহেতু
করোনার কারণে গত বছর লিগ আয়োজন করা যায়নি, সেই টাকা দিয়ে এবার লিগ আয়োজন করবে জেলাগুলো।’
সূত্র: জাগো নিউজ।








