বাংলাদেশকে পেয়ে ‘কিপটে’ বোলিংয়ের রেকর্ড উইন্ডিজ পেসারের

রেকর্ড গড়তে বাংলাদেশের চেয়ে যেন ভালো প্রতিপক্ষ হয়ই না। বিশেষ করে টেস্টে প্রায়ই কোনো না কোনো দেশের রেকর্ড হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই যেমন গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে কিপ্টে বোলিং করে ৪৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার জেইডেন সিলস। 

জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। তার ইকোনমি ০.৩১, যা ১৯৭৮ সালের পর থেকে টেস্টে ৬০ বা তার বেশি বল করা বোলারদের মধ্যে সর্বনিম্ন। জেইডেন সিলসের আগে এই রেকর্ড ছিল উমেশ যাদবের, যিনি ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ০.৪২ ইকোনমিতে বোলিং করেছিলেন।

এছাড়া সব ধরনের বোলার মিলিয়ে এই রেকর্ডে সিলসের আগে একজনই আছেন। তিনি ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম। ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৩২-২৭-৫-০। মাঝে টানা ২১ ওভার মেডেন দিয়েছিলেন।

ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৬৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করলেও বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৬৪ রানে। সিলসের পাশাপাশি শামার জোসেফ (৩ উইকেট) এবং কেমার রোচ-আলজারি জোসেফের বোলিংয়ের মুখে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। সাদমান ইসলামের ৬৪ এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ৩৬ রান ছাড়া বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। শেষ ৩ উইকেট নিতে সিলসই এককভাবে ভূমিকা রাখেন।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ১ উইকেটে ৭০ রানে। ওপেনার মিকাইল লুইসকে আউট করে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেছেন নাহিদ রানা। ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট ৩৩ এবং কিসি কার্টি ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।

তাইজুল ইসলামের বলে ব্র্যাথওয়েটের ক্যাচ মিস করায় গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। তখন তার স্কোর ছিল ২৬। এই ভুলে স্বাগতিকরা দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে রেখে খেলায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তৃতীয় দিনের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য হবে বড় লিড নেওয়া, যেখানে বাংলাদেশ দল লড়াইয়ের প্রত্যাশায় থাকবে।