দ্বিতীয় ডোজ ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে নয়, এসএমএসে মিলবে নতুন তারিখ

দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। প্রথমদিকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পরে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে সেটি আট সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আর নতুন তারিখ মুঠোফোনে এসএমএসর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সোমবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, প্রথমে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পরে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে সেটি আট সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য নতুন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে এসএমএস। যাদের ইতোমধ্যে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাদের কাছেও নতুন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে এসএমএসর মাধ্যমে। তবে কবে থেকে এই এসএমএস দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর।

অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যারা জানুয়ারির ২৭ ও ২৮ তারিখে যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন আট সপ্তাহ ব্যবধানে অর্থাৎ ২৭ ও ২৮ মার্চ। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ ও সময় জানিয়ে এসএমএস দেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, এসএমএস কবে থেকে দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা হয় নাই। তবে নির্ধারিত সময়ের মাঝেই সেটি দিয়ে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য এসএমএস পাঠানো বিষয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি মিটিং হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরবর্তীতে সবাইকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দুই মাস পরেই দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে এসএমএস এর মাধ্যমে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।