ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চায় পাঠাও
ডিজিটাল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘পাঠাও’ ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লাইসেন্সের আবেদন করেছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে বৃহৎ অংশ দ্রুত ঊর্ধ্বগামী ও ডিজিটাল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে পাঠাও এর নিয়মিত ব্যবহারকারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদানকারী এ জনগোষ্ঠীর চাহিদাগুলো অবহেলিত থেকে যায়। ঋণ গ্রহণের জন্য তাদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও চাহিদা থেকে থাকলেও এ জন্য তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কেননা প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ভোক্তাদের প্রযুক্তিনির্ভর কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার, যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত বিতরণ ব্যবস্থা, ডেটা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
পাঠাও এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও শুধু একটি ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের গিগ ইকোনমির ক্ষেত্রে পাঠাও এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এবার পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও আমূলে বদলে দেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স পাঠাওকে এমন একটি রেগুলেটরি কাঠামোর সুবিধা দেবে, যার মাধ্যমে এর সব ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো যেভাবে চায় সেভাবেই লেনদেন করতে পারবে। যখন প্রয়োজন তখনি অর্থায়ন করতে পারবে এবং যেভাবে উচিত সেভাবেই তহবিল পরিচালনা করতে পারবে।
এতে আরও জানানো হয়, ‘পাঠাও পে লেটার’ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ‘বাই নাও পে লেটার’ সলিউশন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দ্বারা পরিচালিত ‘পাঠাও পে লেটার’ এ রয়েছে কোম্পানির ১ লাখেরও বেশি বিশ্বস্ত গ্রাহকের জন্য খরচের শিথিলযোগ্য সময়সীমা এবং নিরবচ্ছিন্ন ‘ইউজার এক্সপিরিয়েন্স’।