অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা সূচকে ভারতকে টপকে গেছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিশ্বের মুক্ততম অর্থনীতিগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর ৫৬.৫। বাংলাদেশ প্রায় নির্ভরশীল অর্থনীতির দেশ। মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে ১২টি ভ্যারিয়েবলের উপর স্কোর নির্ধারিত হয়েছে।
চার ক্যাটাগরি হলো আইনের শাসন, সরকারের
আকার, নীতিনির্ধারকের সক্ষমতা এবং মুক্তবাজার। বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে আইনের শাসনে।
সম্পদের অধিকারে স্কোর ৩৮, বিচারিক কার্যকারিতায় ৩৫.৪ এবং সরকারের ইন্টগ্রিটিতে ২৭.৭।
সবচেয়ে ভালো করেছে সরকারের আকারে। করের বোঝায় ৮৪, সরকারি খরচে ৯৩.৮ এবং আর্থিক স্বাস্থ্যে
স্কোর ৬৬.৩। ব্যবসায়িক স্বাধীনতায় ৫৫.৬, শ্রমের স্বাধীনতায় ৬৮.৮ এবং আর্থিক স্বাধীনতায়
৬৯.৯। ব্যবসায়িক স্বাধীনতায় স্কোর ৬৩.৪. বিনিয়োগের স্বাধীনতায় ৪৫ এবং আর্থিক স্বাধীনতায়
স্কোর ৩০। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ বছরে বাংলাদেশের সর্বাধিক উন্নতি হয়েছে করের বোঝা
কমানোতে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০ দেশের মধ্যে
২৫। তবে বাংলাদেশের স্কোর বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক গড়ের কম।
বাংলাদেশ ধীর অথচ দৃঢ়ভাবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার
দিকে অগ্রসর হচ্ছে গত ১ দশক ধরেই। সবচেয়ে বেশি আশা যোগাচ্ছে খরচ ও করে সরকারি নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশ এইক্ষেত্রে অনেক উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে। উন্নতি হচ্ছে বিচারিক কার্যকারিতাতেও।
ব্যাংকিং খাত বিদেশি প্রতিযোগীদের জন্য খুলে দেওয়ায় সামনের দিনগুলোতে আরও উন্নতি হবে।
বাংলাদেশে সম্পদের অধিকার সকলের জন্য সমান
নয়। বাংলাদেশের রেকর্ড রাখার পদ্ধতি জটিল। বিচার ব্যবস্থাতেও স্বাধীনতার ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যক্তিগত আয়কর ৩০ শতাংশ। কর্পোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ। মোট অভ্যন্তরীণ আয়ের
৮.৮ শতাংশ করের বোঝা। সম্পূর্ণ জিডিপির ১৪.৩ শতাংশ সরকারি খরচ গত ৩ বছর ধরে। বাজেট
ঘাটতি ৪.৪ শতাংশ। পাবলিক ডেব্ট জিডিপির ৩৫.৭ শতাংশ।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে থাকলেও
দুদেশের স্কোর সমান। এইক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ৫ দেশ হলো: সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড,
অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। পিছিয়ে থাকা ৫ দেশ হলো জিম্বাবুয়ে, সুদান,
কিউবা, ভেনেজুয়েলা ও উত্তর কোরিয়া।
কোন তালিকাতে স্থান না পাওয়া দেশগুলো হলো
ইরাক, লিবিয়া, লিখটেনস্টাইন, সোমালিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়া।








