দৈনিক ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা কাজ করেন বেরোবির ভিসি

দায়িত্বে অবহেলা করাটা চরিত্রের মধ্যে
নেই বলে দাবি করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। তিনি প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দৈনিক ২০ থেকে ২২
ঘণ্টা কাজ করেন, মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমান বলে জানান।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নিজের বিরুদ্ধে
ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে দোষারোপ করেন বেরোবি
উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন,
এ ধরনের জায়গা থেকে এমন অভিযোগ তোলা রাজনৈতিক অপকৌশল। এ সময় তিনি নিজের এলাকার সংসদ
নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমার পরিচিত সবাই জানেন, আমি একজন কাজ
পাগল মানুষ। দায়িত্বে অবহেলা আমার চরিত্রে নেই। বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকি না কেন
আমি বেরোবির উপাচার্য। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, উপাচার্যের পদ আবাসিক নয় রেজিস্ট্রারের
দায়িত্ব আবাসিক।’
উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে
বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয় ও আশকারায় হয়েছে।
আগের উপাচার্যের সময় একটি বিশেষ এলাকা থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারাই অবরোধ আন্দোলন
করে আসছেন। আমাকে ঘেরাও করতেই নাকি ক্যাম্পাসে পাওয়া যায় না। এসব ছড়াচ্ছেন।’
বেরোবি উপাচার্য বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে
অভিযোগ- আমাকে পাওয়া যায় না, আমি নিখোঁজ হয়ে যাই, আমি ঢাকা থাকি। অথচ আমি প্রতিদিন
২০/২২ ঘণ্টা কাজ করি। ঢাকায় থাকলে লিয়াঁজো অফিসে কাজ করি। রংপুরে থাকলে বাসায় থেকে
কাজ করি। দায়িত্বগ্রহণের পর স্বাভাবিকভাবেই সব চলছিল। কিন্তু মিথ্যা ও অসংলগ্ন যেসব
তথ্য সংবাদমাধ্যমে দেয়া হচ্ছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে
(ইউজিসি) উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি
বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো আমরা পাইনি। এর আগেই গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশে
ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।








