জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ ৩ দাবি সোহেল তাজের
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন
শারমিন চৌধুরীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে
সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ)। ৩ নভেম্বর জেলাহত্যা দিবস
রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে স্পিকারকে স্মারকলিপি দেন তিনি।
তার অন্য দুটি দাবি হলো- ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র
দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও
পদযাত্রা শেষে এ স্মারক পৌঁছে দেওয়া হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর একান্ত
সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এর আগে বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গোলচত্বরে (খেজুর
বাগান) জড়ো হন সোহেল তাজ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক
ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, যা একটি
জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের
জন্যই আমরা আজ স্মারকলিপি দিচ্ছি।
এসময় তিনি জানান, ২০ মিনিটের জমায়েত শেষে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে
পদযাত্রা এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
পরে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সোহেল তাজ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে
১২ নম্বর গেটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় অনুমতি নিয়ে সোহেল তাজ একা
স্পিকারের দপ্তরে যান।