তেলের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর
অজুহাতে কোনো কোনো ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু
মুনশি।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে টিসিবির এক কোটি পরিবারের মধ্যে
ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ
সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বেশি। সরকার মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে-
জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সত্যি কথা বলছেন। আমরা
দেখছি, সব যে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কন্ট্রোল করি তা নয়। সব ব্যাপারে আপনাদের
বুঝাতে পারব, তাও নয়। কিন্তু আমার যেটা কথা, এগুলো একটা হঠাৎ করে সুযোগ কেউ
নিয়েছে। যে পরিমাণ বাড়ার কথা এর চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে, এটা সত্যি কথা। আমরা
সবাই মিলে চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘যে যে মন্ত্রণালয়ে সেখান থেকে চেষ্টা
করা দরকার। ডলার দেখলেন হঠাৎ করে কত বেশি, সেটাও কিন্তু চেষ্টা করা হচ্ছে। একটু বোধহয়
কমছে।’
‘আমার কাছে হিসাব আছে, তেলের দাম বাড়ার
কারণে চালের দাম কেজিতে বড়জোর ৫০ পয়সা বাড়তে পারে, কিন্তু ৪ টাকা বেড়ে গেছে। কোনো
লজিক আছে? তার মানে সুযোগটা নিয়ে নিয়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেখেন মানুষ কত কায়দাবাজি করে। জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা নামের একটা জায়গা আছে। দূরত্ব ধরেন ১৫ কিলোমিটার, ভাড়া
নির্ধারণ করা হলো প্রতি কিলোমিটার ৩০ বা ৪০ পয়সা। সেখানে কী সুযোগ নিয়েছে? ওই ১৫
কিলোমিটার যেটা জেনুইন গত ৩০/৫০ বছর ধরে...জায়গার মাপ তো আগে পিছে করা যাবে না, যা
দূরত্ব তাই। কিন্তু ভাড়া হিসাব করার সময় ওটা ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে দিয়ে করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ সুযোগ তো কেউ কেউ নিচ্ছেন। আমাদের
একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনাদের যেমন বলতে হবে, কোথায় নিচ্ছে।
আমাদের চোখ-কান খুলে দিতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
কবে নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা
অনেকে আশাবাদী হয়তো অক্টোবরের মধ্যে সিচুয়েশন...কতগুলো ফ্যাক্টর তো কাজ করে। আমি জানি
না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। সেটা তো আমাদের হিসাবের মধ্যে মধ্যে নেই।’
তিনি বলেন, ‘সুযোগ যখন নেয় সবাই একবারে লাভ দিয়ে
করে নেয়। রাতারাতি তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব নয়। আমরা কৃষি, মৎস্যসহ কয়েকটি
মন্ত্রণালয় মিলে ডিমের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করবো দাম কীভাবে কমানো যায়। সবকিছু
কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়।’