ইউনূস সেন্টারের ব্যাখ্যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো: তথ্যমন্ত্রী

পদ্মা সেতু ইস্যুতে ইউনূস
সেন্টারের দেওয়া ব্যাখ্যা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো’
বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক
বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা ইউনূস সেন্টারের বর্তমান সভাপতি
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা দর্শন প্রচারে ভূমিকা
রাখে।
পদ্মা সেতু ইস্যুতে ড. ইউনূসের অবস্থান, গ্রামীণ ব্যাংকের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের বৈধতা, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি ও দেশের
বাইরে অর্থপাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্য ও
অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে বুধবার রাতে ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক
বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব বাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূস ‘চাপ
প্রয়োগ করেছেন’, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ইউনসূ সেন্টার
বলছে, ড. ইউনূস পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির কাছে
কখনো কোনো অভিযোগ বা অনুযোগ জানাননি। সুতরাং বিষয়টি নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত।
তবে এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দাবি, ইউনূস সেন্টার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে
তা সত্যের অপলাপ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যে পদ্মা
সেতুর বিরোধিতা করেছেন এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, নোবেল দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংককে, তিনি
কি সে টাকা গ্রামীণে রেখেছেন? কোনো জনহিতকর কাজে তিনি এটা খরচ করেননি।
মন্ত্রী বলেন, ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি সত্যের অপলাপ। তিনি (ড.
ইউনূস) আগে কখনো এ কথা বলেননি যে, আমি পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাইনি। বরং
যখন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হলো তখন দম্ভ করে বিভিন্ন জায়গায় নানা কথা
বলেছিলেন। সে কথাগুলো এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অনেকেই
বিরোধিতা করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন ড. ইউনূস। তার প্রতি
যথাযথ সম্মান-শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী বিশেষ করে
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিরোধিতাকারী অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যারা কুশিলব
হিসেবে কাজ করেছিল তাদেরও অন্যতম তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা
থাকার সুবাদে হিলারির মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের যে
চেষ্টা চালিয়েছেন, বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে মূল কুশিলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন,
সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আর সেটি দেশ-বিদেশের সবাই জানে।
বিবৃতিতে পদ্মা সেতু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে অভিনন্দন
জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা ড. হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ
করলে তিনি বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, আজ দেশের মানুষ যখন উল্লসিত,
তখন তারা লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টায় এ অভিনন্দন দিচ্ছে।
পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় অনেক বিরোধিতাকারীর ‘সুর
পাল্টেছে’ মন্তব্য করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, বিএনপিও কিছুটা
সুর পাল্টানোর চেষ্টা করছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এখনো কিছু
বলেননি।







