২০ বছর পর ফুলবাড়িয়া আ.লীগের সম্মেলন কাল

২০ বছর পর আগামীকাল
শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক
সম্মেলন। এত প্রস্তুতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ আছে। তবে মূল
নেতৃত্বে বদল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন
নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদকসহ বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ
পদে হয়তো কোনো পরিবর্তন আসবে না। সম্মেলনটা অনেকটা ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার
মতোই হবে।’
সম্মেলন উপলক্ষে ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়া মহাসড়কের ফুলবাড়িয়া অংশ ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সভাপতি বাদে বাকি পদগুলোর প্রার্থীর ছবিসহ তোরণ ও ফেস্টুনে লাগানো হয়েছে। গত বুধবার ফুলবাড়িয়ায় গিয়ে কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনের পর ৬৭ সদস্যের কমিটি হয়। কমিটির সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন বর্তমানে সাংসদ। আর সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সরকার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০ বছরে কমিটির ৯ জন নেতা মারা গেছেন। আর বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ছয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুজন নেতা বর্তমানে অসুস্থ। ১৭টি পদে নতুনদের নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাকি পদগুলো বড় ধরনের পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনাই বেশি।
নেতা-কর্মীদের ভাষ্য,
নতুন নেতৃত্বে নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে
সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগও তেমন নেই।
নেতা-কর্মীরা বলেছেন,
নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য আগ্রহী আছেন কয়েকজন।
তাঁরা হলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সরকার, ফুলবাড়িয়া উপজেলা
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ ও ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল
আমিন। এই তিন নেতার পক্ষ থেকে তাঁদের অনুসারী ও কর্মীরা তোরণ বানিয়ে এবং পোস্টার
টানিয়ে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একাধিক
প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও সভাপতি হিসাবে কেউ প্রকাশ্যে প্রার্থিতার কথা জানাননি।
বর্তমান সভাপতি ও সাংসদ মোসলেম উদ্দিনের প্রতি সম্মান জানাতে কেউ সরাসরি সভাপতি
পদের প্রার্থিতার কথা ঘোষণা করেননি।
সাংসদ মোসলেম উদ্দিনের
ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইমদাদুল হক বলেন, সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি
ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও প্রয়োজনে ভোটের প্রস্তুতিও আছে।
আবদুল মালেক সরকার বলেন, ‘আমরা
আপাতত সম্মেলন সফল করার কাজে ব্যস্ত। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক
শক্তি বাড়ানোই আমাদের উদ্দেশ্য।’







