পোশাকশিল্পে বিদ্যমান উৎসে-করপোরেট কর বহাল রাখার দাবি
রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে বিদ্যমান উৎসে
ও করপোরেট কর আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক
প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। পাশাপাশি নগদ সহায়তার উপর আয়কর কর্তনের হার
শূন্য শতাংশ নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের
প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান এই প্রস্তাবনা
উপস্থাপন করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল
মুনিম।
বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেন, কোভিড চ্যালেঞ্জ আমরা অনেক
দেশের তুলনায় ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। এখন তার ফল পাচ্ছি। করোনার আগের অবস্থার তুলনায়
আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। মাসে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্যমূল্য কমানোসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে উৎসে কর বিদ্যমান ০.৫০ শতাংশ, করপোরেট কর
সাধারণ কারখানার জন্য ১২ শতাংশ এবং গ্রীন কারখানার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আরও ৫ বছর
পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধ করছি। এই খাতের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নগদ
সহায়তার উপর যে ১০ শতাংশ হারে আয়কর নেওয়া হয় তা রহিত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্ডার বৃদ্ধি
পাওয়ায় সুতার চাহিদা বেড়ে গেছে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, দেশীয়ভাবে চাহিদার মাত্র
২ শতাংশের মতো যোগান দিতে পারে। সুতা আমদানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন দেশীয়
উদ্যোক্তারাও সুতা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। ভারত থেকে তুলা আমদানিতে বেনাপোল বন্দরসহ
কয়েকটি বন্দরে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ভারত থেকে বড় চালানের এলসি থেকে আংশিক তুলা
আমদানি করতে গেলে স্থলবন্দরগুলো তা করতে দিচ্ছে না। বড় চালানের বিপরীতে ছোট ছোট
লটে তুলা আনতে পারলে আমাদের ওই পণ্যের গুদামজাতসহ অন্যান্য ব্যয় কমে যাবে। এভাবে
সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কোভিডের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার যে সুযোগ সুবিধা পোশাক শিল্পের জন্য দিয়েছে, আমি
মনে করি সেই সুবিধা নিয়েই আজকে আপনাদের কারখানা অর্ডারে অর্ডারে ভরে যাচ্ছে। আমরাও
পোশাক শিল্পের উন্নতি চাই। এ শিল্পের সমস্যা খুঁজে বের করে তার সমাধান করছে
এনবিআর। তবে ঢালাওভাবে সুবিধা দিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে তার অপব্যবহার হতে পারে।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি ছাড়াও আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
এনবিআর কাস্টমস সদস্য (শুল্কনীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাটনীতি) জাকিয়া সুলতানা,
সদস্য (আয়করনীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।