সারের ভর্তুকি লাগবে ২৮ হাজার কোটি টাকা
আগামী জুন পর্যন্ত
সারের ভতুর্কির জন্য সরকারকে ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার
সার বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত আরো ৯ হাজার কোটি
টাকা (মোট ২৮ হাজার কোটি) প্রয়োজন হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম
বৃদ্ধি ও পরিবহণ ব্যয় বাড়ার ফলেই এ বিশাল অংকের ভর্তুকি লাগবে। এমনিতে আমাদের প্রতিবছর
৮-৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিতে লাগে।
বর্তমান সরকার কর্তৃক সারের ৪দফা দাম কমানোর
সিদ্ধান্ত ও ভর্তুকি প্রদানের প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ইকোনমিক
এক্সপ্রেসকে বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকার
ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর জুন পর্যন্ত
প্রয়োজন হবে আরো ৯ হাজার কোটি টাকা। আমাদের পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে গত
২০২০-২১ অর্থবছরে সারে ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকি
কোথা থেকে আসবে এ বিষয়ে সরকার দু:শ্চিন্তায় রয়েছে। এতো ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন
কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে। কিন্তু কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন কৃষকের কল্যাণে ও কৃষির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ মুহূর্তে সারের দাম বাড়াবেন
না। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারে ভর্তুকি
দিয়ে যাবেন।
ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেওয়ার ফলে দেশে দ্রুত
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি
যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে কৃষকদের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি
দিচ্ছে।
উল্লেখ্য করোনার কারনে চলতি অর্থবছরের
শুরু থেকে ভর্তুকির চাপ বেড়ে চলেছে। অর্থবছরের চার মাস অতিক্রান্ত না হতেই বিভিন্ন
মন্ত্রণালয় থেকে বাড়তি ভর্তুকির চাহিদাপত্র পাঠানো শুরু হয়। এই চাহিদার মধ্যে শীর্ষে
রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে কৃষি
মন্ত্রণালয়ের জন্য ভর্তুকি সংকুলান রয়েছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়
থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই ভর্তুকিতে তাদের ‘পোষাবে’না। এজন্য তাদের
দরকার ১৮ হাজার কোটি টাকা।