১৫৬ জাতের পেঁপে নিয়ে গবেষণা করছে আফতাব বহুমুখী ফার্ম
কৃষি গবেষণা,
সম্প্রসারণ, জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিমিটেড। দেশের
ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইসলাম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের ফসলের
জাত উন্নয়নে গবেষণা করছে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ছাড়াও তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক
পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করেছে ইসলাম গ্রুপ। আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিমিটেড জানায়, বর্তমানে
৮টি ফসল নিয়ে গবেষণা করছে তারা। এরমধ্যে পেঁপে অন্যতম। তারা ১৫৬ প্রজাতির পেঁপে নিয়ে
গবেষণা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আফতাব বহুমুখী ফার্ম
লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (বীজ) মো. ফজলুল হক বলেন, শীত কিংবা গ্রীষ্ম সব সময়ই বাজারে
পাওয়া যায় গুণে মানে সমৃদ্ধ ফল পেঁপে। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে যথার্থ ফলন পাচ্ছে
না কৃষক। হাইব্রিড পেঁপের ফলন বেশি হলেও তাতে মিষ্টির পরিমাণ কম। এছাড়া দ্রুত পচনশীল
ফল হওয়ার কারণে বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করা যায় না। ফলে চাষীদের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়।
এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পেঁপের জাত উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। পেঁপের ফলন ও মিষ্টির
তিব্রতা বৃদ্ধি এবং পচনশীলতা রোধ করতে ১৫৬টি পেঁপের জাত উন্নয়নে কাজ করছি।
তিনি বলেন, পেঁপেকে আমাদের দেশে অর্থকারি
ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে যেসব পেঁপে চাষাবাদ হচ্ছে সেগুলোর
ফলন আশানরূপ হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হলো নারী ও পুরুষ বীজের সংমিশ্রণ না হওয়া। বীজের
মধ্যে যদি কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুরুষজাতীয় বীজ না থাকে তাহলে কোন কৃষক পেঁপে চাষ
করে লাভবান হবে না। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের পেঁপের বীজের মধ্যে নারী-পুরুষ
বীজের সংমিশ্রণ সঠিক পরিমানে থাকবে।
তিনি বলেন, বিদেশি জাতের পেঁপের ফলন বেশি
হলেও দেশি পেঁপের তুলনায় মিষ্টির পরিমাণ খুবই কম। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আমাদের
পেঁপের ফলন অনেক বেশি হবে একইসাথে দেশি পেঁপের মতো মিষ্টি হবে।
আরেকটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করি পেঁপে খুব
দ্রুত পচনশীল ফল। কাঁচা বা পাকা কোন পেঁপেই খুব বেশিক্ষণ বাহিরে রাখা যায় না। আমরা
পেঁপেতে এমন একটি উপাদান ব্যবহার করবো যেটির কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনেটিক উন্নয়ন করবে
এবং পচনশীলতা রোধ করবে। ফলে দূর-দূরান্তে পেঁপে পরিবহন করা যাবে। আমাদের আরেকটি লক্ষ্য
লবণ, জলবায়ু ও খরা সহিষ্ণু পেঁপের জাত উদ্ভাবন করা।