কাওরাইদ ইউনিয়নে জাল ভোট-ব্যালট ছিনতাই: ভোট গ্রহণ স্থগিত

গাজীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কাওরাইদ নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়।
ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং দুই ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে স্থনীয় প্রশাসন ভোট গ্রহন স্থগিত করে। পরে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাধারণ ভোটাররা ভোট গ্রহন স্থগিত চেয়ে বিক্ষোভ করে।
পরে বিজিবি ও পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। স্থগিতের পর দুপুর সোয়া ১টায় বিজিবি মাইকিং করে পুনরায় সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রদানের আহবান জানায়।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং ব্যালট পেপারে সীল দেওয়া ভোটগুলো বাতিল হবে কি’না তা জানতে চেয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। গাজীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জুথী পুনরায় ভোট গ্রহন চালুর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, যেসব ব্যালট পেপারে সীল দিয়ে বক্সে ঢুকানো হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। কারণ, সেগুলোর পিছনে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর বা সীল কোনটাই নাই।
প্রিজাইডিং অফিসার অমিত দাস জানান, বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ১০ টি বুথে ভোট গ্রহন হয়েছে। স্থগিতের পর পুনরায় ভোট গ্রহন শুরু হলে বুথ পর ৫ টি বুথে ভোট গ্রহন নেওয়া হচ্ছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান মন্ডল (ঘোড়া) এবং ড. এ কে এম রিপন আনসারী বলেন, ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে তা বাস্তবেই বাতিল হবে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। এ কেন্দ্রে নতুনভাবে ভোট গ্রহন করার দাবী জানান তারা।পুলিশ সুপার স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল কাদিরের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সেই ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লা দুপুর পৌনে ২ টায় কাওরাইদ নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটারদেরকে নির্ভয়ে ভোট প্রদানের আহবান জানান।







