গেল বছর রপ্তানিতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড
গেল বছরে রপ্তানির নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা কোনো একক মাস বিচারে সর্বোচ্চ। পশ্চিমা দেশগুলোতে আবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ার কারণে এই অর্জন সম্ভব হলো। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে এক মাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৭৩ কোটি মার্কিন ডলার। পশ্চিমা দেশগুলোতে আবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ার কারণে এই অর্জন সম্ভব হলো।
এ ব্যাপারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, বিদায়ী বছরের যে পরিমাণে রপ্তানি আয় হয়েছে, তা বিগত বছরগুলোর সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) ইপিবির প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৩.৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে বিদায়ী বছরে।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কেবল ডিসেম্বরেই, ২০২০ সালের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ২৫.৪৫ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ৩৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার মূল্যমানের পণ্য।
প্রবৃদ্ধির দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস শেষে সামগ্রিক রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুটা হয়েছিল হতাশার মধ্য দিয়ে। প্রথম মাস জুলাই শেষে রপ্তানি ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে ছিল। পরের মাসেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার। অগাস্টে একক মাসে ১৪ দশমিক ০২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানিতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। সেপ্টেম্বরে একক মাসে ৩৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ বাড়লে সার্বিক রপ্তানি ইতিবাচক হয়, প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে পোশাকশিল্প। কেবল পোশাক রপ্তানি করেই বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে ডিসেম্বরের সার্বিক রপ্তানি আয় ছিল ৪৯০ কোটি ডলার।