আজ থেকে শুরু ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ (ডিআইটিএফ)-২০২২ উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের উদ্বোধন করেন।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে ‘আইসিটি পণ্য ও সেবা’কে এ বছর-২০২২ সালের ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
দেশের রপ্তানি পণ্যের প্রবৃদ্ধি ও বাজার বৈচিত্রের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং অন্যান্য সহায়ক সংস্থা এই মেলার আয়োজন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
এ বছর 23টি প্যাভিলিয়ন, 27টি মিনি প্যাভিলিয়ন, 162টি স্টল এবং 15টি খাবারের স্টল বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৬তম ডিআইটিএফ-২০২২ সম্পর্কে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে এই ২৬তম ডিআইটিএফ-এ অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের সকল উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যের জন্য এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অপরিহার্য। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত এ ধরনের বাণিজ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন সার্থক অবদান রাখবে।
তাছাড়া, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জন্য এবারের বাণিজ্য মেলা কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান আবদুল হামিদ। "আমি মনে করি এই মেলা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াবে।"
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীনে মাসব্যাপী ২৬তম 'ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২২' আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বন্ধুত্ব প্রদর্শনী কেন্দ্র।
তিনি বলেন, ইভেন্টটি স্থানীয় এবং বিদেশী প্রদর্শকদের জন্য তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং উদ্ভাবনী পণ্য গ্রাহকদের কাছে প্রদর্শনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করবে।
একই সঙ্গে ক্রেতারা এই মেগা-ইভেন্ট থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় উদ্যোক্তারা এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে সক্ষম হবেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন।
তিনি বলেন, ভয়াবহ কোভিড-১৯ মহামারীর গত দুই বছরে বিশ্ব ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “তবে আমাদের সরকার সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়াতে রপ্তানিকারকদের উদ্দীপনা প্যাকেজ দিয়েছে যা রপ্তানির গতি পুনরুদ্ধার করেছে।”
শেখ হাসিনা পরিশেষে আশা প্রকাশ করেন যে ডিআইটিএফ-২০২২ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের এই শুভ মুহূর্তে গভীর আগ্রহ ও উদ্দীপনা জন্মাতে সক্ষম হবে।