নিবার্চানী সহিংসতা: মৃত্যুর কোলে মাদারীপুরের যুবক
মাদারীপুরের সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের
ঝাউদি এলাকায় নিবার্চানী সহিংসতায় সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম। পরিবারের দাবি পরিকল্পিত
ভাবে সাইফুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাবেক মেম্বার বাবুল ভূইয়া, লোকমান কাজী, লিটন কাজী
ও তার দলবলে এই হামলা করে। রোববার সন্ধার দিকে ঝাউদি’র গুহ পাড়া এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবার সু্ত্রে জানা যায়, ২৮
তারিখ ইউপি নির্বাচনের ভোট গনগনার শেষের দিকে ঝাউদি এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী তার
নিজ ভোটকেন্দ্রে, ভোটের ফলাফল জানতে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ব থেকে ওৎ পেতে এলাকার
চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল ভূইয়া, লোকমান কাজী, লিটন কাজী ও তার দলবল নিয়ে সাইফুল বেপারীর
উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে
আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি
করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
আহত সাইফুল বেপারীর স্ত্রী মনি বেগম অভিযোগ
করে জানিয়েছেন, আমার স্বামী কোন মেম্বার প্রার্থী’র সমার্থক ছিলোনা। সন্ত্রাসী লিটন
কাজীর নির্বাচনে বিজয় হইতে না পেরে, পূর্ব থেকে পরিকল্পনা করে আমার স্বামীকে হত্যা
করার জন্য বাবুল ভূইয়া, লোকমান কাজী, লিটন কাজী, নাইম কাজী, ইয়াদুল, সিদ্দিক কাজী,
মাহবুল সরদার, সোহেল ও তাদের দলবল নিয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য মাথাসহ শরীরের
বিভিন্ন যায়গায় কুপিয়েছে ও লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হাতে, পায়ে, বুকে বিভিন্ন যায়গা
পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
মনি বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন স্বামী
এখন মৃত্যুর মুখে আছে। আমার স্বামীর সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। বিনা অপরাধে
আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো ঐ সকল সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার চাই। এ বিষয় জানার
জন্য লিটন কাজীকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলে তার কোন সারা মিলেনী।
এব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি
মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ
পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।