আ.লীগের দুই পক্ষের নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনী
সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নরসিংদীর রায়পুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে এক ব্যক্তির
মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন
পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে
নরসিংদীতে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় সাতজনের মৃত্যু হলো।
নিহত ব্যক্তি হলেন বাঁশগাড়ির বালুয়াকান্দি
গ্রামের হেকিম মিয়ার ছেলে মো. সালাউদ্দিন মিয়া (৩০)। তিনি এই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানয়, সকাল থেকে বাঁশগাড়ি
ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন
বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হক। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনের
মাঠে আছেন জাকির হোসেন। ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সহিংসতায় সালাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য,
সালাউদ্দিন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। নির্বাচনে ভোট
দেওয়ার জন্য গতকাল বুধবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। ভোট দেওয়ার আগেই লাশ হলেন তিনি। আশরাফুল
হকের লোকজন বাড়িতে এসে সালাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
নিহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী আঁখি বেগম বলেন,
‘গতকাল সারা রাত
ধরে এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছিল। আজ সকাল ছয়টার দিকে আমাদের ঘরের সামনে কয়েকটি ককটেল
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শব্দে ঘর থেকে বাইরে বের হন সালাউদ্দিন। এরপরই তাঁকে গুলি করে।
তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁরা চলে যান।’ পরিবারের সদস্য
ও স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা
কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আমীরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে
মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তাঁর লাশ এই হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।’
রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার
সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জনান, ‘বাঁশগাড়িতে এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে
একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি আমরা। তাঁর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।’