জাতীয় চার মূলনীতির বিরোধিতাকারীরাই সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে : আমু
আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, জাতীয়
চার মূলনীতির বিরোধিতাকারীরাই সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে।
তিনি বলেন,
‘৭২ সংবিধান
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে যারা সংবিধানকে কলুষিত
করেছেন, জাতীয় চার মূলনীতিকে ছুঁড়ে ফেলেছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে তারাই
আজ আবার সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছেন। পাকিস্তানের ভাবধারায় বিশ্বাসীদের এই ষড়যন্ত্রের
বিরূদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল বিকেলে
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে
আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।
আমির হোসেন
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত
হয় কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয় বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে নব্য
পাকিন্তানে রূপান্তর করাই ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন,
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ও জেলহত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করে
ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বেগম খালেদা
জিয়া। তারা দুজনেই হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক
দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয়
চার নেতার স্মৃতির প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল নয়, তারাই হত্যা ও অপরাজনীতির ধারক বাহক।
তিনি বলেন এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকও বিএনপি-জামায়াত।
আওয়ামী লীগের
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে, জাতীয়
পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট
এস, কে, সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ
বক্তব্য রাখেন।
সভায় জাতীয়
চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া
মোনাজাত করা হয়।