সরকার তাদের পকেট ও ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করছে: মির্জা ফখরুল

মো: জাহিদ হাসান মিলু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে কোথাও কোন জবাবদিহী করতে হয় না। তাই তাদের পকেট ভারি করার জন্য, ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য, তাদের প্রফিট বাড়ানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এই সরকার নির্বতন ও দমনমূলক আচরণ করছে।

 

০৪ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার জালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিজেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৬৫ টাকা সেখানে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। লিটার প্রতি ১৫ টাকা দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেরোসিন এর দাম ছিল ৭০ টাকা সেটাকে করা হয়েছে ৮৫ টাকা। এলপি গ্যাসের দাম ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়শা, করা হয়েছে ৫৯ টাকা ৯০ পয়শা।

 

আমরা দেখছি দেশের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেমূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে হিমশিম খাচ্ছে। আর সেই সময় আবার জালানি তেলের দাম বাড়ানো এটা আরও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করবে। কারণ ট্রন্সপোর্ট খরচ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ এর দাম প্রতিবছর বাড়িয়ে সাধারণ ভোক্তাদের অসহনিয় অবস্থায় পৌঁছেছে।

 

টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প দামে পণ্য নি¤œ ও মধ্যবিত্ত মানুষদের মাঝে দেওয়া হতো সেখানেও পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষদের উপর নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেওয়া হল।

 

মির্জা ফখরুল মনে করে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশের সমগ্র অর্থনীতির উপরে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হবে। সেই সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে ও প্রকৃত আয় কমে যাবে। যেটা অবশ্যই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

তিনি আরও বলেন, ট্রাক শ্রমিকরা ঘোষণা দিয়েছে যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি তেলের দাম কমানো না হয় সেক্ষেত্রে তারা ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিবেন। এধরণের কর্মসূচিকে আমরা অবশ্যই সমর্থন জানাবো। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসময় জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।