বালিয়াডাঙ্গীতে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫ নং দুওসুও ইউপির চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত সোহেল রানার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সদস্যরা।


আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ উপলক্ষে ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ৫ নং দুওসুও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কালমেঘ আর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর ছাত্রমিলনায়তন কক্ষে এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য নূরুল ইসলাম, মকলেস চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, ৫ নং দুওসুও ইউনয়ন আওমীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: ইবরাহীম খলিল ও নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মননোয়ন প্রাপ্ত সোহলে রানাসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

 

মুক্ত আলোচনার এক পর্যায়ে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান তার বক্তৃতায় বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের নাম কেন্দ্রে না পাঠিয়ে মাত্র ৩ জনের নাম পাঠিয়েছেন। অথচ সোহেল রানার চাচা নূরল হুদা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন, তাদের বংশের অনেকে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী। বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে যেদিন মারা যায় সেদিন নূরুল হুদা মানুষদেরকে বলেন, এই জালেম সরকারের বিদায় হয়েছে তাই মিষ্টি বিতরণ করছি। এছাড়াও তাদের পরিবারের লোকজন শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাদের গালি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের রাতের ঘুম হত না। আর তাদের পরিবারের সদস্যকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হল। এই প্রার্থীকে বাতিল করে প্রকৃত আওয়ামীলীগের লোককে নতুন করে প্রার্থী করা হোক।

 

এছাড়াও জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের বক্তৃতার সপক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মকলেস চৌধুরী বলেন, এখনো সময় আছে এই প্রার্থীকে পরিবতন করে নতুন প্রার্থী দেন। তাহলে আমরা নৌকা মার্কার সপক্ষে ভোট দিব। আর এই প্রার্থীকে বাতিল না করলে আমি তাকে প্রত্যাখান করছি।

 

পরে এক পর্যায়ে বক্তৃতা শেষে সোহেল রানার প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ কারী উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও সাবেক ৫ নং দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের কাছে সোহেল রানার প্রার্থীতা বাতিলের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, সে বিএনপি পরিবারের সক্রিয় সদস্য, তার পুরো পরিবারই বিএনপি জামায়াত। তাই তার প্রার্থীতা বাতিল চাই তারা।

 

সোহেল রানার পরিবারের সদস্যরা কেও বিএনপি, জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত কিনা ও তাদের পরিবারের লোকজন বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও দলকে গালি গালাজ করার বিষয়ে সাংবাদিকরা সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, যদি কেও প্রমাণ করে দিতে পারে যে আমার পরিবারের কেও বা আমার চাচা বিএনপি-জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে আমি নির্বাচিত হই বা না হই তাৎক্ষণিক আমি আওয়ামীলীগ থেকে পদ ত্যাগ করবো। বঙ্গবন্ধু শুধু একক কোন সংগঠনের নেতা না বঙ্গবন্ধু একজন সার্বজনীন নেতা। এই নেতাকে কোন সুস্থ মানুষ গালি দিতে পারে না। আর এখানে আমার পরিবার শিক্ষিত পরিবার ও সুস্থ পরিবার এধরণের অপকর্মে কখনোই জড়িত ছিলেন না। এই কথা গুলো একেবারেই অবান্তর ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি।