টিকা ক্রয়, প্রয়োগ ও টেস্টে দুর্নীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা জরুরি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয়
উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, করোনার টিকা ক্রয়, টিকা প্রয়োগ এবং করোনা
টেস্টের খরচে বিশাল অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মন্ত্রণালয়ের এই খরচকে অস্বাভাবিক
বলে মন্তব্য করেছেন। তাই করোনার টিকা ক্রয়, প্রয়োগ এবং করোনা পরীক্ষার খরচে দুর্নীতি
হচ্ছে কিনা তা এখনই খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
এই দাবি জানান।
জিএম কাদের বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত
সংবাদে জানা গেছে, ৫০০ টাকায় কেনা এক ডোজ টিকা প্রয়োগে খরচ করা হয়েছে আরও আড়াই হাজার
টাকা। সব মিলিয়ে এক ডোজ টিকা প্রয়োগে ব্যয় হচ্ছে তিন হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের চোখে
এটি অগ্রহণযোগ্য।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গত মে
মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে করোনা রোগী প্রতি চিকিৎসা বাবদ সরকারের
ব্যয় হচ্ছে গড়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। কিন্তু ৯ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে রোগী প্রতি সরকারি খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকা। এমন তথ্যে
বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খরচের হিসেবে
অসংঙ্গতি নিয়ে কথা বলছেন না।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন,
৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ৮ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৬ হাজার
৮৭১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
অপরদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, ৯ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ২০৩টি করোনা পরীক্ষা
করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
বিজ্ঞপ্তি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ১৫ লাখ করোনা পরীক্ষার
হিসেবে গড়মিল স্পষ্ট। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের কোন জবাব
দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাই করোনা টিকা ক্রয়, টিকা প্রয়োগ এবং করোনা টেস্টের
খরচের বিষয়ে কোন দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।