লকডাউন না মানায় নওগাঁয় ২০৬ জনকে জরিমানা!
নওগাঁয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার
ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরে লকডাউনের আওতাভুক্ত
সকল দোকান পাট যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ রয়েছে। এদিন লকডাউন না মেনে অযথা বাইরে আসায়
এবং ঘোরাঘুরি করায় ২০৬ জনের ৮৬ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
লকডাউন বাস্তবায়নে শুক্রবার সকাল থেকে
নওগাঁয় ১১টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর, বিজিবি, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড় সমুহে
কড়া পুলিশী পাহারা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী,
বিজিবি, পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির দিনেও বিভিন্ন অজুহাতে সকাল থেকে
অযথা রাস্তাঘাটে মানুষকে চলাচল করছেন। আবার অনেকেই প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল
চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। দুই একটি রিকশা-ভ্যান, জরুরি পরিসেবার
যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। এছাড়াও যারা অযথা রাস্তাঘাটে
চলাচল করছে তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল
ও বিপনী বিতান।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুর অর রশিদ জানান,
লকডাউন বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় লকডাউন না মেনে অযথা বাইরে আসায়
এবং ঘোরাঘুড়ি করায় ২০৬ জনের ৮৬ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৩ জনের
মৃত্যু আর ২০৫ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক
৯০। এ পর্যন্ত জেলা মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৫জনের।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন
ডা: মুনজুর এ মোর্শেদ জানান, করোনা নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জন শনাক্ত ও আরো ৩ জনের মৃত্যু
হয়েছে। নিহতরা হলেন, জেলার বদলগাছী উপজেলা সদরের নবীন কান্তের ছেলে ললনীকান্ত(৭৮),
একই উপজেলার কদমগাছী মথুরাপুর গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী রশিদা খাতুন(৬০) এবং নওগাঁ
শহরের উকিলপাড়ার জবেদ আরীল ছেলে আবুল কাশেম(৮৬)। এই ৩ জনের মধ্যে আবুল কাশেম রাজশাহী
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর ২জন নিজ বাড়িতে মারা যান। এ পর্যন্ত জেলা মোট মৃত্যু
হয়েছে ৮৫ জনের। বর্তমানে হোমকোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩হাজার ৮০২জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে
আছেন ৫৭জন। আইসোলেশনে আছেন ৪৪ জন।