বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দিতে পারল না সাকিব
বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারে লড়াইটি ছিল
৬ ওভারের। যে লড়াইয়ে প্রাইম দোলেশ্বরের মতো বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দিতে পারল না মোহামেডান
স্পোর্টিং ক্লাব। সাভার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে দোলেশ্বরের কাছে ২২ রানে হেরেছে সাকিব
আল হাসানের দল।
৬ ওভারে ৭৯ রানের লক্ষ্যকে বেশ বড়ই বলতে
হবে। তার মধ্যে ১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে মোহামেডান। প্রথম ওভারেই দুই ওপেনার
পারভেজ হোসেন ইমন আর শুভাগতহোমকে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরান পেসার শফিউল ইসলাম।
১১ বলে ১৬ রান করে আউট হন নাদিফ চৌধুরী।
সাকিব কিছুটা চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ১৪ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় গড়া ২২
রানের ইনিংসটি দলের কোনো কাজে আসেনি। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে মোহামেডান অধিনায়কও
আউট হয়েছে বল হাতে আগুন ঝরানো শফিউলের বলে।
এর আগে প্রাইম দোলেশ্বরের ওপেনার ইমরানউজ্জামান
আর শামীম হোসেন ঝড়ো উইলোবাজিতে বৃষ্টিভেজা মাঠ গরম করে তুলেন। মোহামেডান বোলারদের বেধড়ক
পিটিয়ে ইমরান ও শামীম প্রথম দুই ওভারেই তুলে নেন ৩৫। প্রথম উইকেটে ইমরান আর শামীম মাত্র
৩.৫ ওভারে তুলে দেন ৬৮।
ইমরান ১৪ বলে খেলেন ৪১ রানের এক অতিমানবীয়
ইনিংস। যার মধ্যে ছিল ৫ বিশাল ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি। আর শামীম নটআউট থাকেন ২৯ রানে
(১৬ বলে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে)।
তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে ইমরান হাঁকান
একটি করে ছক্কা ও চার। আর শামীম মারেন এক বাউন্ডারি। তাতে রান ওঠে ১৮। দ্বিতীয় ওভারে
সাকিব দেন ১৭। সেই ওভারেও শামীম আর ইমরান একটি করে ছয়ের মার মারেন।
দোলেশ্বর ইনিংসের পঞ্চাশ পূর্ণ হয় মাত্র
২.৪ ওভারে। তবে নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের ৪ নম্বর ওভারে ইমরানকে আউট করেন মোহামেডান
অধিনায়ক সাকিব। তারপরও তার ২ ওভারে খরচ ২৭ রান।
প্রথম ওভারে বেদম মার খাওয়া তাসকিন আহমেদ
(১ ওভারে ১৮) আর বোলিং পাননি। দ্রুতগতির বোলার রুয়েল মিয়াও সুবিধা করতে পারেননি। ২
ওভারে ১ উইকেট পেলেও এ বাঁহাতি পেসার দিয়ে বসেন ২৪ রান।
তবে ৬ ওভারের এই ম্যাচে দারুণ এক ওভার
করেছেন আবু জায়েদ রাহি। পঞ্চম ওভারে এসে তিনি দেন মাত্র ৪ রান।