বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন চাল

বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লেও আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন চাল। তবে পুরাতন চালের তুলনায় কেজিতে ছয় থেকে আট টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে নতুন চাল। অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন কিছুদিনের মধ্যে পুরাতন চালের দামও কিছুটা কমে আসতে পারে।

 

শনিবার (২২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি। তবে নতুন আসা মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

 

একই ভাবে মাঝারি মানের পুরাতন পাইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। আর নতুন আসা পাইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অপরদিকে গরিবের মোটা চাল পুরাতনটা আগের মতোই ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন আসা মোটা চাল ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন আসা চাল কম দামে পাওয়া গেলেও এর মান ভালো না। নতুন চাল স্বাদে, মানে সবদিক থেকেই পুরাতন চাল থেকে পিছিয়ে রয়েছে। নতুন চাল রান্না করলে ভাতে বাড়ে না এবং নরম হয়ে দলা বেঁধে যায়। যে কারণে এই চালের প্রতি মানুষের চাহিদা কম।

 

তারা আরও বলছেন, এখন দিন যত যাবে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়তে থাকবে। নতুন চালে এখন যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, কিছুদিন পর সেই সমস্যা থাকবে না। তাই পুরাতন চালের দামও সামনে কমে আসবে।

 

এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে সরু, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম কমেছে।