সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের নতুন গন্তব্যস্থল বাংলাদেশ

সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের নতুন
গন্তব্যস্থল বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল অবস্থা রিবাজ করছে।
সেজন্য ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী প্রকাশ
করেছে সৌদি বিনিয়োগকারীরা।
রোববার (২৮ মার্চ)
বিকালে ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূতের দপ্তরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব
কথা বলেন ঢাকার সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতার
সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে পবিত্র দুই মসজিদের হেফাজতকারী সৌদি বাদশাহ
সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর
কথা উল্লেখ করেন। এ উপলক্ষে অনেক শুভকামনা বাংলাদেশের জন্য। একই সঙ্গে আমি বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা অর্জনে আপসহীন সংগ্রাম ও ত্যাগের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাই।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক প্রসঙ্গে সৌদি
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৪৫ বছরে এই সম্পর্ক কূটনৈতিক, রাজনৈতিকসহ সব পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে।
দুই দেশ রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করছে। পারস্পরিক সহযোগিতাও
আছে। এছাড়া ২২ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ
করে তিনি বলেন, সৌদি আরবের ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়নে তারা
কাজ করছে।
বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনার
কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে।
সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশ। এর কারণ বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা।
তিনি বলেন, জ্বালানি, তেল, তরলীকৃত গ্যাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, খাদ্যসহ অন্যান্য খাতে
সৌদি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে।
সৌদি আরবের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের সুযোগ
প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, নিয়োগকারী পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হওয়ায় একজন কর্মী তার সুবিধামতো
নিয়োগকারী বদলাতে পারবেন। তিনি ‘রি-এন্ট্রি’র সুযোগ পাবেন।
প্রয়োজনে চলেও আসতে পারবেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন,
বাংলাদেশি কর্মীদের সৌদি আরবে অন্য দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে
হচ্ছে। এ জন্য তিনি চান, দক্ষ কর্মীরা সৌদি আরব যাক। এ দেশে দক্ষতা প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোতে
আরো বেশি দক্ষ কর্মী সৃষ্টির জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।







