প্যারোলে মুক্তি পায়নি সন্তান, কারাগারে আনা হলো বাবার মরদেহ
বাবার মৃত্যুর পর শেষবার দেখতে এবং জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন কারাবন্দী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হুদা রুবেল। তবে তিনি প্যারোলে মুক্তি পাননি। শেষপর্যন্ত তার বাবার লাশ কারাগারের ভেতরে এনে তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার
(৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
জেলগেট থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি
কারাগারের ভেতরে নিয়ে যায় কারা
কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে বাবাকে
শেষবারের মতো দেখেন ইউপি
চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।
জানা
গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক
রয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৫নং বুরুদিয়া ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল। আর
তাই প্যারোলে মুক্তি না পাওয়ায় মৃত
বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে লাশ
আনা হয় জেল গেটে।
রুবেলের
মা নূর জাহান বেগম
জানান, অনেক চেষ্টা করেও
কিছুক্ষণের জন্য ছেলের মুক্তির
ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই
জেলেই তার স্বামীর লাশ
নিয়ে আসা হয়েছে ছেলেকে
একনজর দেখানোর জন্য। পরে বাড়িতে ওর
বাবার জানাজা হয়। তিনি আরও
বলেন, তার ছেলে আওয়ামী
লীগকে সমর্থন করলেও কোনো পদে নেই।
তবু তার বিরুদ্ধে তিনটি
মামলা হয়েছে।
পুলিশ
ও এলাকাবাসী জানায়, রুবেলের পিতা হার্ট অ্যাটাকে
অসুস্থ হয়ে ঢাকার নিউরো
সায়েন্সেস হাসপাতালে ২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাই সোমবার বাদ
আছর নিজ এলাকায় বাবার
নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণে সাময়িক সময়ের জন্য চেয়ারম্যান রুবেলের
প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক
বরাবর একটি আবেদন করেন
তার আইনজীবী সুজিত কুমার দে।
কিন্তু
জেলা প্রশাসক আবেদনটি আমলে নিয়ে জেল
কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনকে
অবগত করলে জেলা গোয়েন্দা
সংস্থার রিপোর্টে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সম্ভাবনার উল্লেখ
করা হয়। তাই তাকে
জেল গেটে শেষবারের মতো
দেখার অনুমতি দেওয়া হয়।