অর্থনৈতিক অঞ্চল সফল হলে কয়েকটিই যথেষ্ট
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এতগুলো ইজেড দরকার নেই। বরং উদ্দেশ্য ঠিক রেখে এবং গুরুত্ব দিয়ে কয়েকটিকে সফল করা দরকার।
যেখানে বিনিয়োগকারীদের ও শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা যাবে। কয়েকটি পুরোপুরি কার্যকর ইজেড করা গেলে শিল্পায়নে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিবেশ ও সামাজিক মূল্যায়নবিষয়ক একটি কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইজেডের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাবগুলো চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলোর যথাযথ সমাধানের পরিকল্পনা তৈরির জন্য এ বিষয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মূল্যায়ন দলের টিম লিডার কাজী ফরহাদ ইকবাল।
তিনি বলেন, সমন্বিতভাবে পরিকল্পিত শিল্পায়নের লক্ষ্য নিয়ে ইজেড নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সুরক্ষার আদর্শ হিসেবে যা পরিগণিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) বেগম লামিয়া মোরশেদ বলেন, বেজার অধীনে ইজেড স্থাপিত হচ্ছে, যা এসডিজির বিভিন্ন লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
স্বাগত বক্তব্যে ইজেড উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন বেজার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
প্যানেল আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ইজেড উন্নয়নের সময় বায়ু ও পানির গুণমান, জীববৈচিত্র্যের স্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে পরিবেশের ওপর প্রভাব কম পড়বে।
বেজার নির্বাহী সদস্য সালেহ আহমদ বলেন, ইজেডকে পরিবেশবান্ধব করে সফল করা, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং স্থানীয় জনগণকে প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিতে মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন বলেন, সমীক্ষা প্রতিবেদনে যেসব সামাজিক বিষয়ের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ বলেন, পরিবেশগত অনেক নেতিবাচক প্রভাবের কথা খসড়া প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দা মাছুমা খানম বলেন, যথাযথভাবে এফ্লুয়েন্ট ও ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করলে দূষণ কমানো সম্ভব হবে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বলেন, মিরসরাইয়ে কম খরচে গৃহায়ন স্থাপন করা হলে আবাসিক সমস্যার সমাধান হবে। আগামীতে প্রয়োজন হলে সেখানে এ ধরনের এলাকা গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে।