সম্মেলনে বিশেষ নৌকা নিয়ে নেত্রকোনার সিদ্দিক, খুলনার মনিরুল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দলে দলে সোহরাওয়ার্দী আসেন নেতাকর্মীরা। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি, হাকিম চত্বর, দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের সবার দৃষ্টি বিশেষ নৌকার দিকে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে সিদ্দিক মিয়ার তৈরি নৌকা। যা তিনি নেত্রকোনা থেকে পায়ে চালিত ভ্যানে বিশেষ কায়দায় ঢাকা নিয়ে আসেন। অন্যদিকে ইঞ্জিনচালিত অটোতে নৌকা বানিয়ে নিয়ে আসেন খুলনার মিনারুল ইসলাম। তারা সম্মেলনস্থলের আশপাশ ঘুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। অনেকেই তাদের নৌকার সামনে দাড়িয়ে তুলছেন ছবি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর, টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য এলাকার রাস্তায় নৌকা নিয়ে
ঘুরছেন মিনারুল। তার নৌকায় রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, মাইক, লাইট, বঙ্গবন্ধু ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। নৌকার সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী
লীগের দলীয় পতাকা উড়ছে। নোকার ভেতর রয়েছে মিনারুলের অন্যান্য প্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র। আর এই নৌকা চলছে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দিয়ে।
এ নৌকা যেখানেই যাচ্ছে, সবাই কাছ থেকে দেখতে দৌড়ে আসছেন। নৌকার
সামনে দাড়িয়ে ছবি তুলছেন।
মিনারুল ইসলাম বলেন, যেখানেই আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ হয়, সেখানেই এই নৌকা নিয়ে হাজির হই। সবাই আমার নৌকা দেখে আনন্দ-উৎসাহ পায়। দল সম্পর্কে ভালো ধারণা পায়। এটা আমার কাছে ভালো লাগে।তিনি বলেন, গত দুই বছর আগে এই নৌকা তৈরি করা হয়েছে। শুরুতে সবাই পাগলামি বললেও, এখন প্রশংসা করছে।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে ভ্যান গাড়ির ওপর স্টিলের কাঠামোর নৌকা তৈরি করেন নেত্রকোনার সিদ্দিক মিয়া। তিনিও তার নৌকা নিয়ে রাত থেকে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেন।
জানতে চাইলে সিদ্দিক মিয়া (৫৫) জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের
প্রতি আমার ভালোবাসা রয়েছে। এজন্যই ভ্যান গাড়িতে নৌকা তৈরি করে সারাদেশ ঘুরছি।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগদানের জন্য তিনদিন আগে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি।
নেত্রকোনা থেকে পায়ে চালিয়ে নৌকা নিয়ে ঢাকায় আসি।
মিনারুল ইসলাম এবং সিদ্দিক মিয়ার নৌকার সামনে দাড়িয়ে ছবি তুলছিলেন
ফেনী জেলার আওয়ামী লীগ নেতা নয়ন তালুকদার।
আলাপকালে তিনি বলেন, সাধারণত এমন ব্যতিক্রমী উদ্বেগ দেখা যায় না।
তাই নৌকা দুটির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম, ভালো লাগলো। এভাবে প্রত্যেকের নিজ
অবস্থান থেকে নৌকার জন্য প্রচার-প্রচারণা করলে দলের উপকৃত হবে।