বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে উপ-নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সংসদ সদস্যরা (এমপি)
পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বিএনপি থেকে নতুন একটা আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে, তারা যদি আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা
দেয় সেক্ষেত্রে সংসদে তাদের যে দলীয় এমপিরা আছেন, তারা পদত্যাগ করবেন- এ বিষয়ে
তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, তারা যদি সেটা করে সেখানে উপ-নির্বাচন
হবে। অসুবিধা তো নেই। পাঁচজন সংসদ সদস্য তাদের আছে।
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিভাগীয় সম্মেলন
হচ্ছে। তাদের এই সম্মেলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের তৈরি হবে। তাতেই সরকারের পতন
হবে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি
বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো এরকম কথা আসলে গত সাড়ে ১৩ বছর বলে আসছেন। নানা
ধরনের সভা তারা গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে করেছেনও। এর আগেও তারা বিভাগীয় সমাবেশ
করেছেন, জেলা সমাবেশ করেছেন। সেই সব সমাবেশে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে,
নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করেছে। এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি
করার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে সরকার যেমন জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য
যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, জনগণ যদি প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তোলে আমাদের দলও
জনগণের সঙ্গে থাকবে।
গতকাল হিউম্যান রাইটসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিএনপির ওপর
নির্যাতন, হয়রানি, গ্রেফতার চলছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ও
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তারা অনেক সময় অনেক বিবৃতি দেয়। এছাড়া এমন কিছু সংগঠন
আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে। তো এখন কে কী বললো, যেমন অ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনালের আইরিন খান তারেক রহমানের বেয়াইন হন। বেয়াইন যখন অ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয় বা আরেক দিকে কোনো বেয়াইন থাকলে সেখান থেকে
বিবৃতি আসে বা বিক্রি হয়। সে বিবৃতির তো কোনো মূল্য নেই।
হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও কিছু কিছু ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশে মানবাধিকার
লঙ্ঘন হয়েছে বলে যে অভিযোগ করে আসছে, তা কাজে আসেনি। বরং এশিয়া প্যাসিফিক
অঞ্চলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য
নির্বাচিত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক পথে আছেন।