শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই দেশ গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন
বলেই বাঙালি জাতির মুক্তির শৃঙ্খল উজ্জীবিত হয়েছে এবং প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশ
প্রগতি ও উন্নতির ধারায় পদে-পদে এগিয়ে গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’
আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই বাঙালি আঁধারেও বোধের
দীপশিখাকে জাজ্বল্যমান প্রদীপরূপে লালন করার সাহস পায়। যাকে মোট ১৯ বার হত্যার
চেষ্টা করে আজ হন্তারক গোষ্ঠী বিশ্রামের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু নির্ভীক শেখ হাসিনা
উন্নয়নের সোপান বেয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্নের সিঁড়ির দিকে
দোর্দণ্ড-প্রতাপে ধাবিত হয়ে চলেছেন।
‘স্বজন হারানোর বেদনা, দেশের মানুষের
জ্বালা-গ্লানিকে সময়ের তাড়নায় একচিলতে হাসিতে রূপান্তর করার প্রত্যয় নিয়ে
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সব অশনি শক্তিকে
বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে। স্বৈরাচারী সরকার, সন্ত্রাসের ভয়াল করালগ্রাস, অগণতান্ত্রিক
সামরিক পেটোয়া বাহিনী, দুষ্টের দৌরাত্ম্য সবকিছু যিনি আলিঙ্গন করেছিলেন পিতা মুজিবের
স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের নেপথ্যের দিগ্বিজয়ী সারস হয়ে।’
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে বাস্তবায়ন,
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাসাধন, জঙ্গিবাদ উৎখাতে অকুতোভয় দুঃসাহসী অভিযাত্রিক হিসেবে
যিনি নিজের জাত চিনিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছেন অপরাজেয় লৌহমানবী হিসেবে, তিনিই
হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন
নাছিম বলেন, ‘পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু
প্রতিরোধ করা যায় না।’
বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগ তুলে নাছিম বলেন, মির্জা ফখরুলরা
লাশের রাজনীতি করতে চান। কিন্তু বাংলার মাটিতে আর হত্যাযজ্ঞ চলতে দেওয়া হবে না।
ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই খুনিদের রুখে দেওয়া হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার
সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও বক্তব্য
রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা,
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের মধ্যে ক্রীড়া উপকরণ বিতরণ করা হয়।