শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর: এনামুল হক শামীম
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল
হক শামীম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং
গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তার
দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। তার
সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আলোকিত
বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয়
সময় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ও বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে
লস এঞ্জেলসে প্রবাসী বাংলাদেশি ও গ্রেটার ফরিদপুরবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
উপ-মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক,
বিশ্বে প্রভাবশালী নারী প্রধানমন্ত্রী, অনুকরণীয়-অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। শেখ হাসিনার
ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা,
চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি, রেমিট্যান্স,
বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী
সাফল্য এনে দিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু আর্থিক বা
অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে, বাল্যবিয়েসহ বিভিন্ন
রকমের সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারের দেশবিরোধীদের হাতে
শহীদ হওয়ার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন শেখ হাসিনা। এদেশের মানুষের ভোট ও
ভাতের অধিকার বাস্তবায়নের লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদকে
হঠিয়েছেন। স্বৈরশাসন আমলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারা ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে।
অন্তত ২১ বার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি
নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থেকেছেন।
তিনি বলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে
তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করে ‘মাদার
অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মুজিববর্ষে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা- একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যে
তিনি গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার তুলনা শুধুই শেখ হাসিনা। তিনি অনুকরণীয় ও
অনুস্মরণীয়।
শামীম বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে কর্মরত
রয়েছে। দেশের অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অবদান খাটো করে দেখার
কোনো সুযোগ নেই। প্রবাসীরা হচ্ছেন বিদেশে দেশের দূত। করোনাকালিন সময় দেশের
অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। আর শেখ হাসিনা হচ্ছেন প্রবাসীবান্ধব
সরকারপ্রধান।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যার জন্মদিন, বাঙালির আশার বাতিঘরের শুভ
জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী আপনি শতায়ু হোন। দেশের জন্য আপনাকে প্রয়োজন।
‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। সেই হারানোর অপূর্ণতা এ দেশ ও
জাতি কখনো পূরণ করতে পারবে না। ১৭ কোটি বাঙালির অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও
সুস্বাস্থ কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট যুবলীগের সভাপতি
সুবর্ন নন্দী তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র-সহ-সভাপতি, নূরে আলম সিদ্দিকী
সাদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান জীবন, কমিউনিটি নেতা মমিনুল হক বাচ্চু,
সায়েদুল হক সেন্টু, হুমায়ুন কবির, ইলিয়াস সিকদার, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী
মশহুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক লস্কর আল মামুন, সাজিয়া হক মিমি, আনন্দ মেলার সভাপতি
মোহাম্মদ আলী খান প্রমুখ।
এসময় প্রবাসীরা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে আসার
আহ্বান জানান। এছাড়া লস এঞ্জেলসে স্থায়ীভাবে কনস্যুলার অফিস স্থাপন ও প্রবাসীদের
হয়রানি বন্ধে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।