চাহিদার অভাবে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কমেছে
চলতি সপ্তাহে কমেছে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য। দেশটির প্রধান ক্রেতা দেশগুলোয় চাহিদা কম থাকায় কৃষিপণ্যটির বাজার দরে নিম্নমুখী প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে। ফলে এ সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি চাহিদা ছিল তুলনামূলক কম। অন্যদিকে আফ্রিকান ক্রেতারা সক্রিয় ছিলেন না। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের মূল্য স্থির হয়েছে টনপ্রতি ৩৬০-৩৬৬ ডলারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৬৪-৩৭০ ডলার।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে বর্তমানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। এ কারণে উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহে দাম কমলেও শিগগিরই তা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উৎপাদন ঘাটতি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের বাজারে অস্থিরতার কারণে আমদানি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গত মাসে বাংলাদেশ মাত্র ১৫ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানি করে।
এদিকে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল রফতানি হচ্ছে ৩৯০-৩৯৩ ডলারে। নতুন মৌসুমের চালের গুণগত মান এবং থাই ও ভারতীয় চালের নিম্নমুখী বাজারের ফলে ভিয়েতনামের চালের দামও কমতির দিকে।