মান্না-সাকি-নুরের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ ৮ আগস্ট

দেশের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন আনতে ৮ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ এমন ঘোষণা দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ হয়ে যাওয়ার আগে দেশকে উদ্ধার করার যুদ্ধে নামতে হবে। এসময় ওই অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও নুরুল হক নুরও বক্তব্যে একই ইঙ্গিত দেন।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। মতবিনিময় সভাটি গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আগামী ৮ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করবে। এটি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে তৈরি হতে পারে।

সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাচ্ছে না উল্লেখ করে জুনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও এভাবে দখল হয়নি। এখানে বদল আনতে চাইলে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের মাধ্যমে অন্যান্য দলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্রের জন্য আওয়াজ তোলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, যার প্রথম রাস্তা হলোএ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো। তার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে গেলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা পারবেন তারা বিভিন্নভাবে লড়বেন। সরকার বলল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, এখন তারাই বলছে হারিকেন জ্বালো, কুপি জ্বালো, মোমবাতি জ্বালো। বলছে এটা গ্লোবাল লোডশেডিং। বুলিং করে বা চায়ের দাওয়াত খেয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

সাকি বলেন, গুলির জবাব বাংলাদেশের মানুষ দিতে জানে। গুলির জবাব দিয়েই দেশের মানুষ স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিল। আবারো এ পতনের লড়াই করবে তারা।

জোনায়েদ সাকি বলেন, যখন কোনো সরকার গুলি করে মানুষ মারে, তখন বোঝা যায় তাদের পতন অনিবার্য। অতীতে আমরা তাই দেখেছি। আজকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকার নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।

একই ইঙ্গিত দিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি তারা আলাদা পার্টি। কিন্তু মূল জায়গায় তারা কেউই নেই। তারা শাসনভার পেলে সবকিছু একই রকম করে চালাবে। জনগণের জন্য কিছুই করবে না। কিন্তু আমরাও তাদের জনগণের সামনে আলাদা করে দেখাতে পারিনি।

দেখা যাক, দোয়া চাইবো নাকি সাহস চাইবো বলতে পারছি না। চেষ্টা তো করতে পারি। গণতন্ত্র মঞ্চের মতোই সেরকম একটা কিছু আমরা চাইছি। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলত পারি, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, কারও ক্ষমতায় যাওয়ার বাধা হতে নয়, আমরা সেই রকম একটা শক্তি দাঁড় করাতে চাই। যেখানে জনগণকে বোঝানো হবে কারা তাদের জন্য কাজ করতে চাচ্ছে।

সভায় মূল নিবন্ধ পাঠ করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, জাতীয় লীগের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, স্বদেশি গণতান্ত্রিক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, ভাসানী অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।