গাড়ি বিক্রি ২০ শতাংশ কমে গেছে

অর্থনীতির বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে গাড়িশিল্প খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করেছে গাড়ি বিক্রি। সব ধরনের গাড়ি বিক্রি এরই মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে থ্রি-হুইলার জাতীয় গাড়ির বিক্রি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আগে মাসে গড়ে দেড় হাজারের বেশি থ্রি-হুইলার বিক্রি হতো। গত মাসে এ বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬০০টি। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, বাস, ট্রাকের মতো গণপরিবহনের বিক্রিও কমে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে আবারও আলোচনায় এসেছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি। যদি শেষ পর্যন্ত সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে, তাহলে গাড়ি বিক্রি আরও কমবে।

একদিকে খরচ বেড়েছে, অন্যদিকে কমেছে বিক্রি। ফলে গাড়িশিল্প একধরনের সংকটে পড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর গাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আবার সরকারি দপ্তরগুলোর এ বাবদ খরচেও লাগাম টানা হয়েছে। এ দেশে ব্যাংকগুলো গাড়ির বড় ক্রেতা। এখন সেখানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তার প্রভাবে বিক্রি আরও কমবে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি পর্যায়ে আমাদের আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হচ্ছে। করহার না বাড়লেও শুধু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় করের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সংকটকালে ডলারের দামের কারণে যেটুকু কর বেড়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সেটুকু ছাড় দেওয়া হলে তাতেও ব্যবসার এ খারাপ সময়ে কিছুটা স্বস্তি মিলত। খরচ বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে আমরা গাড়ির দাম কিছুটা বাড়িয়েছি। কিন্তু যেভাবে আমদানি খরচ বাড়ছে এবং বিক্রি কমছে, তাতে বাধ্য হয়ে আমদানি ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আগে ভারত থেকে এককনটেইনার গাড়ি আমদানিতে জাহাজ ভাড়া লাগত ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার। সেই খরচ বেড়ে এখন ৪ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে।