‘পলাশীর পরাজয়ের কারণ ছিল সীমাহীন লোভ-দুর্নীতি’

যে জাতি ইতিহাস ভুলে যায়, তাদের
মতো দুর্ভাগ্যবান কেউ নেই। পলাশীতে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল
শুধুমাত্র সিরাজ-উদ-দৌলার মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সীমাহীন লোভ-দুর্নীতি কারণে। এসব
কথা বলেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা
ভুঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নয়াপল্টনে ঐতিহাসিক পলাশী দিবসের ২৬৫তম
বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ-ন্যাপ। এ সভার সভাপতির
বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পলাশীর মতো আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র।
আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে
পড়বে। এ অবস্থায় ঐতিহাসিক পলাশীর ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠিত
করতে হবে জাতীয় ঐক্য। মনে রাখতে হবে, বিভক্ত শক্তি যত দেশপ্রেমিকই হোক না কেন,
তারা বিজয়ী হতে পারে না। আর বিজয়ী হতে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি হবে পলাশীর পরবর্তী
অবস্থার মতো।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, সেদিন মীরজাফর নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেননি।
কিন্তু তিনি তার দায়িত্বও ঠিকভাবে পালন করেননি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যারা
ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা সবাই শাসক গোষ্ঠীর অংশ ছিল। আমরা সবাই বলি ইতিহাস থেকে
শিক্ষা নিতে হবে। তবে আমরা কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না।
‘পলাশীর বিপর্যয় তখনই ঘটেছিল যখন অর্থনীতির
উপর থেকে তৎকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে গিয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানি বাণিজ্যের নামে এদেশে প্রবেশ করে। অবশেষে দেশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল।
বাণিজ্যের নামে কেউ যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে
ব্যাপারে সরকারসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে’।
এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান
হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান
স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো.
আমজাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস
প্রমুখ।







