আলাউদ্দিনের রাজনীতির লক্ষ্য ছিল গণমানুষের মুক্তি

মওলানা ভাসানীর সহযোদ্ধা
আলাউদ্দিন আহমেদের রাজনীতির লক্ষ্য ছিল গণমানুষের মুক্তি। তিনি সারাজীবন মানুষের
জন্য কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই ক্ষমতার বাইরে থাকলেও জনগণের
জন্য কাজ করতে ভোলেননি।
রোববার (১৩ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আলাউদ্দিন
আহমেদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্বপন স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায়
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব
কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদর্শহীন মানুষ নিয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশের কোনো কল্যাণ হয় না, হবেও না।
সেক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার হতে পারে। তারা দেশ ও জনগণের মঙ্গলের পরিবর্তে
রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত থাকেন। জনসাধারণের স্বপ্নের
শোষণহীন সমাজ ও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ ছিলেন নিবেদিত
প্রাণ।
‘সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য
বেড়েই চলছে, বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। অভাব ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে আজকের জনজীবন
দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। চাল, ডাল,
তেল, তরিতরকারি, ফলসহ প্রায় প্রতিটি দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। ফলে
সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে।’
মহাসচিব বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কমরেড আলাউদ্দিন
সংগ্রাম করেছেন। তার সেই সংগ্রামের পথ ধরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যাদের কারণে
বাংলাদেশ, আজ শাসকগোষ্ঠী ইতিহাস থেকে তাদের নাম মুছে ফেলতে চাচ্ছে। মওলানা
ভাসানী-কমরেড আলাউদ্দিনদের স্মরণ করতে হবে আগামীর বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য। তাদের
প্রদর্শিত পথে দেশের পতাকা-মানচিত্র রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কমরেড আলাউদ্দিন ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা।
মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তিনি গণমানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন। আগামী
প্রজন্মের স্বার্থেই ভাসানী-অলি আহাদ-ভাষা সৈনিক মতিন-কমরেড আলাউদ্দিনদের স্মরণ
করতে হবে।
স্বপন স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন
বাংলাদেশ লেবারপার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক
পার্টি (এনডিপি) মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার
সাহা, যুগ্ম-মহাসচিব মো. মহসীন ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান, বাদল দাস
প্রমুখ।







