জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে
বেসরকারি খাতের ঋণে গতি বাড়ছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারিতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে আগামী জুনে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গত ডিসেম্বর মাসের প্রাক্কলন ছিল ১১ শতাংশ।
গত অর্থবছর ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হলেও অর্জিত হয় ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত কয়েক মাস ঋণ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী জুনে প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক কয়েক বছর বিনিয়োগ চাহিদা কম রয়েছে। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে আসে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর আরও কমতে থাকে। ২০২০ সালের মে মাসে প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে যায়। তবে পরের মাস জুন থেকে একটু করে বাড়তে বাড়তে এ পর্যায়ে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি শেষে বেসরকারি খাতে মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময় শেষে ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানি আগের চেয়ে বাড়ছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে আমদানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সাত মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমেছে। প্রবাসী আয় কমতে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। যে কারণে গত আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।